Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ছোটসুন্দর বাজার মুক্তিযোদ্ধে শহীদ স্মৃতি: শহীদ মিনার
বিস্তারিত

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্বরনে কাল জয়ী স্মৃতির আদলে বাধাঁ ছোটসুন্দর বাজার শহীদ মিনার। হাজার হাজার বছরের নবীনকে স্বরণ করিয়ে দিবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।

এ সেই চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন, যার মাটি এই উপমহাদেশের অনেক স্বর্ণগর্ভা মাটির সমকক্ষ। তাদের চেয়েও কম বনেদী নয়। অথচ আমরা এমন যে,রামপুর ইউনিয়নের গৌরবোজ্জ্বল সেই সব ইতিহাসও সঠিকভাবে জ্ঞাত নই। আমরা কেন সঠিকভাবে জ্ঞাত নই, সে কথা বর্ণনা করতে গেলেই আবারও সেই পুরোনো কাসুন্দি ঘাটতে হয়, অপরের ওপর অপবাদ দিতে হয়। নিজেদের অক্ষমতা, নিজেদের অপারগতার দায় অপরের কাঁধে চাপাতে হয়। সে বড় দূর্ভাগ্যের কথা! তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, যতই কষ্ট হোক, মুক্তিযুদ্ধে রামপুর ইউনিয়নের  ভূমিকার কথা অগোছালো কলমে হলেও লিখব।

১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ শুরু হওয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং নয় মাস পরে ১৬ ডিসেম্বর-এর বিজয় অর্জন ছিলো বাঙালি জাতির সামরিক সংগ্রামের ইতিহাস। অর্থাৎ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রাম। এই স্বাধীনতা যুদ্ধ একদিনে শুরু হয়নি। একটি জাতির অভ্যূদয় ও মাত্র নয় মাসের সংঘটিত যুদ্ধের ফলে হয়নি। এই যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পেছনের ইতিহাস বহু পুরোনো। প্রায় সহস্র বছরের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজকের এই অবয়ব পেয়েছে।

ইতিহাসে স্বর্ন অক্ষরে নাম লেখে গেছে লাখো মুক্তিযোদ্ধা । তার মধ্যে রামপুর ইউনিয়নের অনেক মুক্তিযোদ্ধা বিদ্ধমান । তার একজন রাড়ীরচর গ্রামের মহাপুরষ ভাষা সৈনিক প্রয়াত  এম.এ. ওয়াদুদ পাটওয়ারী একজন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বর্ববর হানাদার বাহিনীতে থেকে তৃনমূল পর্যায়ের এই রামপুর ইউনিয়টিও রক্ষা পায়নি। ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসের ৮ তারিখ সকাল ৮:০০ ঘটিকার সময় রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর বাজারে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার সহ ডুকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও জন সাধারণ মানুষের উপর নির্মম ভাবে গুলি বর্ষন ও নির্যাতন করে। এবং মুক্তব ঘরে (বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শহীদ মিনার) স্থানে একত্রি করে তারা পাষান হ্নদয়ে একজন করে প্রায় আঠার জন মুক্তি ও সাধারণ মানুষকে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে। তার মধ্যে আল্লাহর অশেষ কৃপায় দু’পায়ে গুলি বৃদ্ধ অবস্থায় আঃ রশিদ মিজি অজ্ঞান অবস্থায় জীবিত থাকে। বর্তমানে যুদ্ধা আহত অবস্থায় আঃ রশিদ মিজি জীবিত আছে। এমনকি ছোটসুন্দর বাজারের সবগুলো দোকান পুড়িয়ে পেলে। মুক্তি যুদ্ধে নিহত আঠার জন হলো- আবদুল খালেক-রামপুর, আসলাম –রামপুর, ওহাব –রামপুর, সেকান্তর- রামপুর, আবুল বাশার-রামপুর, মুকবুল হোসেন তালুকদার(আহত)-ছোটসুন্দর, আনোয়ার হোসেন ভূইয়া-ছোটসুন্দর, সামছূল হক তালুকদা- ছোটসুন্দর, হানিফ পাটঃ –ছোটসুন্দর, রুহুল আমিন পাটঃ –ছোটসুন্দর, আঃ ওদুদ বেপারী- ছোটসুন্দর, নুর ইসলাম- ছোটসুন্দর, বেনু লাল শীল- ছোটসুন্দর, নুরু চইয়াল- ছোটসুন্দর,কোয়া গাজী-ছোটসুন্দর, রাজমহন সাহা- ছোটসুন্দর, আবু খায়ের হাজী-চরবাকিলা, । এ ছাড়াও তারা কামরাঙ্গা , মনিহার ,রাড়ীরচর ,রামপুর গ্রামে হামলা করে ,বাড়ীতে গিয়ে নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচার করে অনেক কে গুলি করে হত্যা করে। পাক বাহীনি ও রাজাকার বাহিনী বার বার অত্র এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে । 

ছবি ও তথ্য সংগ্রহ: মোঃ কামরুজ্জামান বাবু, উদ্যোক্তা, ০৫ নং রামপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র।