উৎপত্তি: বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুরওলক্ষ্মীপুর জেলার ওপরদিয়ে প্রবাহিত এই নদী।নদীটি ভারতের ত্রিপুরা পাহাড় থেকে উৎপন্ নহয়ে কুমিল্লা-লাকসাম চাঁদপুর সদর উপজেলার ০৫ নং রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পূর্ব সীমানা দিয়ে কামরাঙ্গা গ্রামের কোল গেছে ছোটসুন্দর বাজার হয়ে দঃআলগী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে।যা লক্ষ্মীপুরের হাজিমারা পর্যন্তবিস্তৃত। চাঁদপুর থেকে এই ডাকাতিয়া নদী যোগ হয়েছে কুমিল্লার গোমতীর সঙ্গে ইহা ২৩০.২০ অক্ষাংশে এবং ৯১০.৩১ দ্রাঘিমা বিস্তৃত। যা বাম দিকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ফেনী নদীতে মিশেছে।
নামকরন:
মেঘনা নোয়াখালীতে প্রবেশের পর ডাকাতিয়া নামধারণ করেছে। যার দক্ষিনের অংশ নোয়াখালী খাল রুপে প্রবাহিত।
যোগাযোগ:
এক সময় এই নদীর উপর দিয়ে বরিশাল, ভোলা, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মালামা লপরিবহন করা হতো।
সুখময়: যদিও এর নাম শুনতে ভংয়কর হলেও নদীটি খুবই শান্ত প্রকৃতির।এই নদীকে কেন্দ্র করে ০৫ নং রামপুর ইউনিয়নের প্রকৃতি হয়েছে দ্বিগুন সুন্দর।হাজার হাজার বছরের অনেক সুখ-দুঃখের স্বাক্ষী বহমান ডাকাতিয়া।এর বহমান স্রোতে পরিবেশকে করেছে মন মুগ্ধকর। ডাকাতিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, প্রামারী স্কুল , হাই স্কুল ,মাদ্রাসা ও কলেজ।এই নদীটি দিয়ে জেলে ,কৃষক হাটের দিন সমাগম হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর কৌশল বিনিময় করে।ডাকাতিয়া নদী শুনতে শত্রু ভাব হলেও অতি মিত্র। কারন ইহাকে বুকে বেধেঁ শতশত জেলে ,কৃষক জীবিকা র্নিবাহ করে আসছে হাজার বছর ধরে । অত্র ইউনিয়নের কৃষি ফসল বিশেষ করে ধান উৎপাদন হয় ডাকাতিয়ার দান করা এক ফোঁটা পানি দিয়ে ।ডাকাতিয়া নদীটির মাধ্যমে ক্ষতির ছেয়ে উপকারই বেশি বটে। ছবি ও তথ্য সংগ্রহ: মোঃ কামরুজ্জামান বাবু , উদ্যোক্তা, ০৫ নং রামপুর ইউআইএসসি, চাঁদপুর সদর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস